বিশেষ প্রতিনিধি।।
আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী যেখানে চুক্তিবদ্ধ, আর মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর হয়ে থাকে, সেখানে বিসিবি’র সিইও পদে টানা এক যুগ থেকে বহাল তবিয়তে নানা অনিয়ম করে আসছেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। বিসিবি’র পদত্যাগী সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মেয়াদের পুরোটা সময়েই প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
পাপন আমলে বিসিবির সকল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তিনি। কারন, বিসিবি’র প্রতিটি চুক্তি এবং আর্থিক অনুমোদনে পদাধিকার বলে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহীর স্বাক্ষর থাকতেই হবে এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি ১৭% কমিশন ছাড়া বিল ছাড়তেন না। গ্রাউন্ড স্টাফ নিয়োগ, ক্রয় কার্যক্রম থেকে শুরু করে গ্রাউন্ডের ঘাস কাটা ও চুনকাম কাজ থেকেও নিতেন কমিশন। এক কথায় নিজের আখের গোছাতে কোন অংশে কম ছিলেন না নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
বিসিবি’র গত বোর্ড যেভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নির্মাণে ঝুঁকেছিল, দুর্নীতির জাল বিস্তার হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এখন তাই নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের বিপক্ষে বিসিবি’র সব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সহযোগী হিসেবে দাঁড়াতে হচ্ছে কাঠগড়ায়। বিসিবি’র মহা দুর্নীতির সহযোগীকে এই দায়িত্বে রেখে কী দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট বোর্ড সম্ভব? সরকার যেখানে দুর্নীতি নির্মুলে সংস্কার কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিইও পদে পরিবর্তন এনেছেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সচিবকে পদত্যাগে এবং অবসরে বাধ্য করতে দ্বিধাবোধ করেননি, সেখানে সিইও পদে কেনো এখনও থাকবেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন- এই প্রশ্ন বিজ্ঞ মহলে।
এই পদটি সাধারণত চুক্তি ভিত্তিক, দুই-তিন বছরের হয়ে থাকে। অথচ সকল দুর্নীতি এবং আর্থিকসহ সকল চুক্তিপত্রে সাইন করা সিইও কেনো থাকবেন? ১২ বছর ধরে থাকা বিসিবির প্রধান নির্বাহীর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিসিবি? সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়। এই সিইও বোর্ডের আগের কিছু দোসর ডাইরেক্টরদের সাথে এক হয়ে বিগত বছরগুলোতে ট্যালেন্ট হান্ট করতে দেইনি। যা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে নস্যাতের একটা বড় ষড়যন্ত্র।
মিস্টার ১৭% কে চেঞ্জ করে যোগ্য, সৎ ও তরুণ কাউকে যে কিনা দেশকে ভালোবাসে এমন বেক্তিত্বকে সিইও হিসেবে দেখতে চায় ক্রিকেট ক্রীড়াঙ্গন। কারণ নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনের দুর্নীতির কারণে কলঙ্কিত বিসিবি এখনই কলঙ্কমুক্ত করার প্রয়োজন।