নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অল্প দিনে কুরআনের হাফেজ হলেনে ১১ বছর বয়সী মোঃ জুনাইদ হোসেন পিতা মোঃ রায়হান কবীর মাতা মোছাঃ জেরিন বেগম তার বাড়ি গ্রামঃ মীর শাহ,কাজল দিঘী থানাঃ নবাবগঞ্জ, জেলাঃ দিনাজপুর
মোঃ জুনাইদ হোসেনের এমন কৃতিত্বে খুশি শিক্ষক ও তার স্বজনরা। শিক্ষকদের সঠিক দিক নির্দেশনা আর স্নেহ ভালাবাসায় অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হতে পেরেছে বলে জানায় মোঃ জুনাইদ হোসেন। ভবিষ্যতে একজন বড় আলেমে দ্বীন হয়ে দেশ ও মানুষের খেদমত করার স্বপ্ন তার।
দুই ভাই বোন এর মধ্যে জুনাইদ হোসেন ছোট
আলাপকালে জুনাইদ হোসেন জানায়, শিক্ষা জীবনের শুরুতে প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন তার বাবা-মা। পরে তাদের ইচ্ছা হয় ছেলেকে হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্যে দুই বছর আগে জুনাইদ হোসেন কে ভর্তি করেন মাদরাসায়।
মাদ্রাসায় পড়াশোনায় সবার নজর কাড়ে জুনাইদ হোসেন। এক পর্যায়ে সর্বশেষ মাত্র ১১ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন হেফজ সম্পন্ন করেন। নিজের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত জুনাইদ হোসেন।
জুনাইদ হোসেনের সাফল্যে খুশি তার সহপাঠীরাও। হুসাইন ও রবিউল ইসলাম নামে তার দুই সহপাঠী জানায়, জুনাইদ হোসেন ছাত্র হিসেবে ভাল ও মেধাবী। দ্রুত পড়া মুখস্ত করতে পারে। অনেকের পরে ভর্তি হয়ে তাদের আগেই হাফেজ হয়েছে সে, আমরা খুব খুশি।
লালমনিরহাট রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ নুমান হোসেন ও হাফেজ রাজু আহমেদ বলেন, আলহামদুল্লিাহ অনেক ভাল লাগছে। এই মাদরাসায় এত অল্প সময়ে জুনাইদ হোসেন হাফেজ হয়েছে। আমরা যখন যে দিক নির্দেশনা দিয়েছি সেটি সে মেনে চলেছে। জুনাইদ হোসেন অনেক মেধাবী, সে চেষ্টা করছে, যে কারণে এই সফলতা। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই জুনাইদ হোসেন কে যেন আল্লাহ আলেম হিসেবে কবুল করেন।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল ইসলাম মন্ডল বলেন, জুনাইদ হোসেন খুবই মেধাবী ছাত্র, মনোযোগী এবং মেহনতী। তার এই মেহনত যদি সে ধরে রাখতে পারে তাহলে সে একজন যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম হতে পারবে।
তিনি আরও জানান, লালমনিরহাট রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদরাসায় ১৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী এবং ১১ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। আমাদের মাদ্রাসাটিতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ও গ্রেট ম্যান আবাসিক ছাত্রদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে।