নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে দলের সিনিয়র ও প্রবীণ নেতা এটি এম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের আয়োজনে শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার, হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে, মিশন মোড় গোল চত্তরে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, ও লালমনিরহাট তিনটি আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, হারুন অর রশিদ, এবং সাবেক জেলা আমির প্রভাষক আতাউর রহমান, সহকারী জেলা সেক্রেটারি হাফেজ শাহ আলম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রেনায়েল আলম, পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউল ইসলাম ফাতেমী ও প্রভাষক মাহিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, “এটিএম আজহারুল ইসলামকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার মুক্তি নিয়ে রহস্যজনক নীরবতা বজায় রাখা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
বক্তারা আরও বলেন, “যারা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও মুক্তি পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে কেন আজহারুল ইসলামের বিষয়টি ব্যতিক্রম? এ প্রশ্নের জবাব সরকারকেই দিতে হবে। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গঃএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর দেওয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এ রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২০ ফেব্রুয়ারি এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির নেতারা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।এবং নেতা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।