1. dainiklalmoniralolive@gmail.com : দৈনিক লালমনির আলো : দৈনিক লালমনির আলো
  2. info@www.dainiklalmoniralo.live : দৈনিক লালমনির আলো :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ব্যাঙের চওড়া গ্রামের মিন্টু মিয়া ও তার পিতা সরব আলীর উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার – মহেশখালী নৌ রুটে প্রথমবার চালু উওর মানিকপুর তনু মিয়ার ছেলে রহিম মিয়া প্রতারণা করে ফারুকের পরিবার থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় কুড়িগ্রামে ছয় দফা দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল লাইফ স্কয়ার হাসপাতালের মালিক প্রতারক গোলাম রাব্বানী জুয়েল ৭৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সাধারণ জনগণ থেকে  হিলি দিয়ে ২.৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি শেষে বন্ধ হচ্ছে দ্বিতীয় দফা চাল আমদানি সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের অফিসে আগুন সেনবাগ ৯নং নবীপুর ইউনিয়নে মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির নেতা শেখ আহমেদ লালমনিরহাটে সচেতন নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে বৈশাখীর ঘোড়া খেলায় রেকর্ড দর্শক সমাগম!

বোমা মেশিনের ব্যবহারে ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি পাটগ্রাম

এবি সিদ্দিক,(লালমনিরহাট) পাটগ্রাম প্রতিনিধি।।
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

এবি সিদ্দিক (লালমনিরহাট) পাটগ্রাম প্রতিনিধি।।

ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে পাথর উত্তোলন করলে নদী এলাকার শিলাস্তরে ফাটল ধরে। তলদেশের অন্যান্য শিলাস্তরেরও ক্ষতি হয়। এতে ভূমিকম্পের অধিক ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভূমি ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দেয়। পানির স্তর নেমে যায়। দীর্ঘ মূল সম্পন্ন গাছ বৃদ্ধি পায়না। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ সহর উদ্দিনের কাছে পাথর-বালু উত্তোলন সম্পর্কিত মন্তব্য জানতে চাইলে এভাবেই বলেন।

পাটগ্রাম উপজেলার একটি পরিচিত শব্দ এখন (স্থানীয় ভাষায় বোমা মেশিন) ড্রেজার মেশিন। যে মেশিন মুলত ব্যবহার করা হয় পাথর-বালু উত্তোলনের কাজে। বোমা মেশিন দিয়ে নদীর গভীর/তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলন করায় তিনটি নদীর সর্বনাশ ঘটেছে। নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন, নদীর বুকে বালুর পাহাড়, নদীর নাব্যতা সংকটসহ সরকারি-বেসরকারী শত শত স্থাপনা ঝুঁকিতে। বহুবছর ধরে চলমান এসকল ক্ষতিকর মেশিনে উপজেলার নানা সমস্যা দৃশ্যমান হওয়ায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। পাশাপাশি নদী থেকে মেশিন সরিয়ে নিতে মালিকদেরকে আহ্বান জানিয়ে ইতোমধ্যে মাইকিংও দিয়েছেন, যা সবার নজর কেড়েছে।

স্থানীয় মেশিন মালিকেরা রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে উপজেলার বুড়িমারী, শ্রীরামপুর, পাটগ্রাম, কুচলিবাড়ী, জোংড়া ও বাউরা ইউনিয়ন হয়ে প্রবাহিত ধরলা, সানিয়াজান ও সিংগীমারী নদীতে দেড় থেকে দুই শতাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হয় পাথর। নদীর ৪০ থেকে ৬০ ফুট গভীর/ভূ-গর্ভস্থ থেকে লাখ লাখ টন পাথর ও বালু উত্তোলনে নদীগুলোর নাব্যতা এবং গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। নদীতীরবর্তী শত শত একর আবাদি জমি ও এলাকার সরকারি, আধা সরকারি ভবন, রেললাইন, বুড়িমারী স্থলবন্দর, সেতু ঝুঁকিতে রয়েছে। অধিক হারে পাথর পরিবহনের ট্রলি ও ট্রাক চলাচলে গ্রাম/এলাকার পাকা ও আধাপাকা সড়ক গুলো নষ্ট হয়ে দেশের শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ক্ষতি হতে রক্ষায় অবৈধ এসব ড্রেজার মেশিন নদী থেকে সরিয়ে নিতে গত ৮ মার্চ দিনব্যাপী এ উপজেলার আনাচে-কানাচে মাইকিং করে স্থানীয়দেরকে আহ্বান জানান ইউএনও জিল্লুর রহমান।

এ তিন নদী থেকে পাথর উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ করা না হলে এ উপজেলা ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানীর শঙ্কা জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে পাথর উত্তোলনের গভীর খাদে পড়ে গত কয়েকবছরে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য মেশিন মালিকদের সাথে যোগসাজশ করায় এ অবৈধ কারবার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব নদীর মূল প্রবাহিত অংশে ড্রেজার মেশিনে মোটা পাইপ লাগিয়ে তলদেশ হতে পানি, পাথর ও বালু একসাথে উঠে আসে। এ সময় লোহার তৈরি বিশেষ নেট দিয়ে পাথর আলাদা করে ট্রলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশে নদীর পাদদেশ হতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট উচু উচু বালুর পাহাড়সম হয়ে নদীর গতিপথ আটকে যায়। এভাবে একের পর এক চলে পাথর উত্তোলন। সর্বনাশ ঘটতে থাকে নদীর। পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের পেদীরবাড়ী এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা নদী পাথর উত্তোলনের পর মাইলের পর মাইল এলাকা জুড়ে বিশাল উচু বালুর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে নদী উত্তর দিকে প্রায় অর্ধ-কিলোমিটার সরে গেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে ধরলা, সানিয়াজান ও সিংগীমারী নদীর বিভিন্ন অংশে। এসব নদীর পানির স্তর নেমে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে জীব-বৈচিত্র। বোমা/ড্রেজার মেশিনের কারণে মাছের প্রজনন বিঘ্ন ঘটায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। জীব-বৈচিত্রের ক্ষতিসহ হাজারও মানুষের জীবন হুমকির মুখে।

উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের পেদীরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘কার কাছে বন্ধ করার কথা বলবো। মেশিন চালানোর টাকা নাকি সবাই খায়। সাংবাদিকেরাও নাকি টাকা পায়। আমাদের এলাকা দিয়ে বয়ে চলা নদী পাথর উত্তোলনের সরু নালা হয়ে অনেক দূর সরে গেছে। এসব বলে কি হবে, খবর নিয়ে দেখেন মিথ্যা বলছি নাকী।’

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, আমি যোগদান করার পর অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। আবারও কিছু দুস্কৃতিকারী ড্রেজার মেশিন চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। পাটগ্রামের ইউএরও এ মেশিন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। মেশিন বন্ধে সবার সহায়তা প্রয়োজন। নদীগুলো পুণরুদ্ধার করতে প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। প্রকল্প পেলে নদী স্বাভাবিক করতে কাজ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট